আমাদের এই অঞ্চলে সর্বজনীন শিক্ষার সূচনা হয় ১৯১৯ সালে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ শাসনামলে। তবে রাজনৈতিকভাবে প্রথম ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট কর্তৃক উত্থাপিত ২১ দফার মধ্যে বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষার প্রতিশ্রুতির ঘোষণা করা হয়। স্বাধীন বাংলাদেশে ১৯৭২ এর সংবিধানে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক প্রাথমিক শিক্ষাকে মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এরপর ১৯৭৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ১০ টি শিক্ষাকমিশন কিংবা শিক্ষানীতি পায় বাংলাদেশ। আসুন জেনে নেই কমিটি গুলোর নাম এবং সময়কাল।
১. কুদরাত-ই-খুদা শিক্ষা কমিশন–১৯৭২
২. জাতীয় কারিকুলাম ও সিলেবাস প্রণয়ন কমিটি–১৯৭৬
৩. জাতীয় শিক্ষা উপদেষ্টা কমিটি–১৯৭৮
৪. মজিদ খান শিক্ষা কমিশন–১৯৮৩
৫. মফিজউদ্দীন আহমদ শিক্ষা কমিশন–১৯৮৭
৬. শামসুল হক শিক্ষা কমিশন–১৯৯৭ ও জাতীয় শিক্ষানীতি–২০০০
৭. এম.এ বারী শিক্ষা কমিশন–২০০১
৮. মনিরুজ্জামান মিয়া শিক্ষা কমিশন–২০০৩
৯. কবির চৌধুরী শিক্ষা কমিশন–২০০৯ ও জাতীয় শিক্ষানীতি–২০১০
১০. জাতীয় শিক্ষানীতি–২০২২ ও রূপকল্প–২০৪১
এসব শিক্ষা কমিশনের ফলাফল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ ছিল এবং প্রান্তিক পর্যায়ে কেউ এর থেকে কোন ভাল ফলাফল পেয়েছে কিনা তা আজও জানা যায়নি। কিন্তু সবগুলো শিক্ষানীতির একটা বিষয়ে বরাবরই মিল আছে সেটা হল ঔপনিবেশিক শিক্ষা ধারণার আটকে থাকা। শিক্ষায় যে মানব সম্পদ গড়ে তোলা সম্ভব এই ধারনা থেকে আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা অনেক দূরে। নতুন করে আবারও একটা শিক্ষানীতি বা কমিশন শুধু মিডিয়া অ্যাটেনশন কিংবা টকশো সাবজেক্ট হিসাবে যেন না হয়।
শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদ উদ্দিন মাহমুদ স্যারের কাছে চন্দনার অনুরোধ, শিক্ষা নিয়ে নতুন কোন পরিকল্পনা থাকলে তা যেন হয় প্রযুক্তি নির্ভর উৎপাদনমুখী শিক্ষা।